আজ শনিবার (৪ জুন) দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ৫০ বছরের হলেও চা শ্রমিকদের শ্রম-ঘামের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। তবুও আজ তারা নানা বৈষম্যের স্বীকার। নেই তাদের ভূমি অধিকার।
মিলেনি চা শ্রমিক দিবসের জাতীয় স্বীকৃতি! অথচ সেই শিল্পে নিরলস ভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে দেশের মোট ১৬৩টি চা বাগানের লক্ষাধিক চা শ্রমিক। আর সেই চা বাগানের মধ্যে ৯৭টি বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে এসব চা বাগানে কর্মরত লক্ষাধিক চা শ্রমিক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখলেও এখনও তাদেরকে বেতন বৈষম্যসহ নানা বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।
প্রায় দুই‘শ বছর ধরে চা শ্রমকিদরে ঘামে শ্রমে প্রতি বছর চা উৎপাদনরে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গলেও তাদের ছেড়ে যায়নি দারিদ্রতা। প্রতিদিন ১২০ টাকার মুজড়ি (দৈনিক বেতন) দিয়ে পরিবার নিয়ে চালাতে হচ্ছে জীবন।
এদিকে দেশে ২য় বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। আজ এ দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।